সপ্তপদী (১৯৬১)
সপ্তপদী (১৯৬১)
পরিচালকঃ অজয় কর
জনরাঃ রোমান্টিক
আইএমডিবিঃ ৮.১
তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়ের উপন্যাস (একই নামে) অবলম্বনে চলচ্চিত্রটি নির্মান করা হয়। ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পূর্বমুহূর্তে ব্রিটিশদের সাথে তাল মিলিয়ে বাঙালি ছেলেরাও পড়াশোনা, খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে নিজেদের সুফল বয়ে আনতে থাকে। এমনি সময়, কৃষ্ণেন্দু (উত্তম কুমার) নামের একজন মেডিকেল ছাত্রের কল্যাণে ফুটবল প্রতিযোগীতায় ব্রিটিশদের হারায় বাঙালি দল। মারদাঙ্গা করে খেলায় ম্যাচ শেষে রিনা ব্রাউন (সুচিত্রা সেন) নামের একজন অ্যাংলো-ভারতীয় মেয়ে কৃষ্ণেন্দুর নিন্দা করে। ঘটনাক্রমে, কলেজ অনুষ্ঠানে কৃষ্ণেন্দুর অসাধারণ "ওথেলো" আবৃত্তি এবং অভিনয় দেখে রিনা ব্রাউন তার প্রতি আকর্ষণ বোধ করে। মাতৃহারা কৃষ্ণেন্দুকে স্বান্তনা দেয়ায় তাদের মধ্যে সম্পর্ক আরো গভীর হয়। মেডিকেলে প্রথম হয়ে কৃষ্ণেন্দু রিনার পিতার কাছে রিনাকে বিবাহের প্রস্তাব জানায় এবং নাস্তিক ভাবাপন্ন কৃষ্ণেন্দু বিবাহপূর্বক খ্রিশ্চান হওয়ার শর্ত মেনে নেয়। কিন্তু কালীপূজক কৃষ্ণেন্দুর পিতা রিনার কাছে পুত্রভিক্ষার আবেদন জানালে রিনা কৃষ্ণেন্দুকে ধর্ম ত্যাগের দোহায় দিয়ে দূরে ঠেলে দেয়।
তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়ের উপন্যাস (একই নামে) অবলম্বনে চলচ্চিত্রটি নির্মান করা হয়। ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পূর্বমুহূর্তে ব্রিটিশদের সাথে তাল মিলিয়ে বাঙালি ছেলেরাও পড়াশোনা, খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে নিজেদের সুফল বয়ে আনতে থাকে। এমনি সময়, কৃষ্ণেন্দু (উত্তম কুমার) নামের একজন মেডিকেল ছাত্রের কল্যাণে ফুটবল প্রতিযোগীতায় ব্রিটিশদের হারায় বাঙালি দল। মারদাঙ্গা করে খেলায় ম্যাচ শেষে রিনা ব্রাউন (সুচিত্রা সেন) নামের একজন অ্যাংলো-ভারতীয় মেয়ে কৃষ্ণেন্দুর নিন্দা করে। ঘটনাক্রমে, কলেজ অনুষ্ঠানে কৃষ্ণেন্দুর অসাধারণ "ওথেলো" আবৃত্তি এবং অভিনয় দেখে রিনা ব্রাউন তার প্রতি আকর্ষণ বোধ করে। মাতৃহারা কৃষ্ণেন্দুকে স্বান্তনা দেয়ায় তাদের মধ্যে সম্পর্ক আরো গভীর হয়। মেডিকেলে প্রথম হয়ে কৃষ্ণেন্দু রিনার পিতার কাছে রিনাকে বিবাহের প্রস্তাব জানায় এবং নাস্তিক ভাবাপন্ন কৃষ্ণেন্দু বিবাহপূর্বক খ্রিশ্চান হওয়ার শর্ত মেনে নেয়। কিন্তু কালীপূজক কৃষ্ণেন্দুর পিতা রিনার কাছে পুত্রভিক্ষার আবেদন জানালে রিনা কৃষ্ণেন্দুকে ধর্ম ত্যাগের দোহায় দিয়ে দূরে ঠেলে দেয়।
পরবর্তীতে কৃষ্ণেদুর পিতা রিনার সত্যনিষ্ঠার পরিচয় পেয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং কৃষ্ণেন্দু বিপর্যস্ত রিনাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনে।
উত্তম-সুচিত্রার অভিনয়কলার প্রশংসার অপেক্ষা রাখে না। এই চলচ্চিত্রের গান "এই পথ যদি না শেষ হয়" আজো বাঙালির মন ছুঁয়ে দেয়।তবে যারা মূল উপন্যাস পড়েছেন, তাদেরকে উপন্যাস মাথায় রেখে চলচ্চিত্রটি দেখতে আমি অনুৎসাহিত করব। চলচ্চিত্রটি যেমন উপন্যাসের গল্পের ধারা বজায় রাখতে পারেনি, তেমনি উপন্যাসে মানুষের মনোজগতের উৎপীড়ন, ধর্মীয় সূক্ষ্মবোধের যে বার্তা ছিল তা ফুটিয়ে তুলতে পারেনি।
তবুও চলচ্চিত্রটি তার নিজের কারনেই সেরা, উপন্যাসের কারনে নয়!
তবুও চলচ্চিত্রটি তার নিজের কারনেই সেরা, উপন্যাসের কারনে নয়!
No comments: